প্রাক-ইসলামী ইসলাম ও তার সুফী

English translation

মাদইয়ান, আরেক নাম মুঘাইর শুয়াইব (শুয়াইবের মরুদ্যান), হালের সৌদি আরবের উত্তরপশ্চিম কিনারায় সিনাইয়ের পুবে আকাবা পাতিসায়রের কাছে৷ হজরত মুহাম্মদের (সা:) সময় আসলামী গোত্র এই এলাকায় বসত করত৷

বেশ কয়েকজন আসলামী আল্লাহর রসুলের (সা:) আহলে-সুফ্ফা দলে আছিলেন৷ কোরানশরীফে গাছপালা ছাওয়া আল-আইখ (২৬:২৭৫) ও মাদইয়ানের (৭:৮৫,১১:৮৪-৯৫) কথা আছে৷ এই তল্লাট আছিল হজরত শুয়াইবের (আ:) এলাকা৷ হজরত শুয়াইব হজরত মুসার (আ:) শ্বশুর আছিলেন৷ সুফী খিড়কার ইতিহাসে পাওয়া যায় হজরত শুয়াইব হজরত মুসাকে খিড়কা দেন৷

খিড়কা বা খিলকা হইল যে জামা সুফী ওস্তাদ উনার শিষ্য বা শিষ্যগো দেন৷ হজরত সাহাবুদ্দিন মানেরী লিখছেন হজরত আদম (আ:) উনার খিড়কা দেন পোলা হজরত শিছকে (আ:)৷ এই জামা হজরত আদম গাছের পাতা দিয়া বানান৷ কওয়া হয় উনি গাছের কাছে চাইয়া অনুমতি নিয়া পাতাগুলা নিছিলেন৷ পরিবেশ সচেতন না হইলে কি এই গপ্পের তাৎপর্য বুঝা যায়? এর থিকাই মনে হয় শুরু হইছে জোরাতালি দেওয়া জামা পরার রীতি৷

হজরত শুয়াইব মিদিয়ানী আছিলেন৷ উনার আন্দাজ দুই বা তিন শ বছর আগে মিতান্নি নামে এক রাজ্য আছিল৷ হজরত ইউসুফের বিবির জুলাইখা নামটা মনে হয় মিতান্নির ভাষায় আছিল৷ আনামেরি সিমেল [১] নামটার এক রূপান্তর শুনতে সংস্কৃত মনে হয় সুলাইকা দিছেন৷ আসলে মিতান্নির জবানের সাথে বৈদিক ভাষার মেলা মিল দেখা যায়৷ এক মিতান্নি রাজার নাম আছিল তুশরথ৷

মদীনার পুরাতন নাম আছিল ইয়াথরিব যে নামটা হজরত শুয়াইবের একটা বাইবেলীয় নাম যেথরো মনে আনে৷ বাইবেলীয় সাহিত্য হজরত শুয়াইবের নাম নিয়া জগাখিচুড়ি করছে৷ উনাকে যেথরো কওয়া হইছে ইলোহিস্ট বিবরণে৷ একটা ইয়াহুইস্ট বিবরণ উনাকে কইছে হোবাব যাকে শুয়াইব নামের রুপান্তর ভাবা যায়৷ কিন্তু নম্বর ১০:২৯ উনার পোলাকে হোবাব কইছে৷ আর উনাকে কইছে রিউয়েল যা রুহুল্লাহ বা খোদার আত্মা অর্থে উনার উপাধি হইতে পারে৷

মিদিয়ানীরা সম্ভবত হারাইয়া যাওয়া ইন্দো-ইউরোপীয় মিতান্নিগো সম্পর্কিত আছিল৷ ইয়াহু (যিহোভা) নামটাকে শাহ (সাই, সোয়ামি) নামটার রুপান্তর ভাবা হইছে৷ আবার আম্রা শুনতে ইরানী ও আর্য শুনায় একটা শব্দ পাই যেইটা মিতান্নির দিকে দেখায়৷ মুসলিমগো মাঝে হারানো মিতান্নি মিরাসের কথা পাওয়া যাইব ইন্টারনেটে দাগা "Bengali Nath and Midianite Arab Nasiku" নামের লিখায় [২]৷

বেবাকেই জানে বিবি জুলাইখা হজরত ইউসুফকে দেখেন মেছেরে৷ উত্তরপুব সুরিয়া মিতান্নি রাজ্যে আছিল৷ মিতান্নির সাথে মেছেরের নিবিড় সুবাদ আছিল৷ সুরিয়া থনে মেছের যাওয়ার এক পধান পথের কাছে আছিল মাদইয়ান৷

বাইবেলের এক গপ্পে হজরত ইউসুফকে উনার ভাইরা মিদিয়ানীগো কাছে বিক্রি করেন৷ মনে হয় হজরত ইউসুফের সময় হইতে হজরত মুসার কালের কিছু পরে ইহুদী-মিদিয়ানী যুদ্ধের মাঝের সময়কাল হজরত ইউসুফের বংশধর সুফীবাদের ব্যাপারে গুরুত্বের আছিল৷

হজরত ইসহাকের একটা রঙিন বেল্ট আছিল৷ পয়লা বাচ্চা হওয়ায় বেল্টটা বড় মাইয়া দাবী করেন ও পরে তা ভাইস্তা ইউসুফকে দেন৷ এইভাবে বেল্টটা হজরত ইয়াকুবের বড় পোলা জুদাহ পান নাই৷ পাইছেন জুদাহর ছোট ভাই ইউসুফ৷ এই ঘটনা মনে হয় হজরত ইয়াকুব থিকা হজরত ইউসুফের খিড়কা পাওয়ার ঘটনা৷

কল্পনা করা যায় হজরত ইউসুফের থিকা একটা সুফী ধারা হজরত শুয়াইবের মাধ্যমে হজরত মুসার কাছে আইছে৷ ওই কারণেই মনে হয় বাইবেলের পুরান টেস্টামেন্টে মিদিয়ানী জোফিতিম ও বনি ইসরাইলী সেফাস পদবীর কাজী দেখা যায়৷

মূল ইহুদীধর্মের বাইরে সেফাস বা তার বিকার রূপ যে খৃষ্টধর্ম আকার পাওয়ার সময়ও টিকা আছিল তা বুঝা যায় সাইমন পিটারের আরবী ও সিরিয়াক নাম শামুন সাফা (ছাফা) ও কিপা থিকা যে বিষয়টা বেনযামিন দায়ুদ কালদানী ব্যাখ্যা করছেন সুন্দরভাবে৷ সাফা শব্দের মানে পাথর৷ পেটরোস মানেও পাথর৷ সাফওয়ান শক্ত পাথর বা শিলা৷ "... শিলা যার উপর মাটির ধুলা আছে..." কোরানশরীফ ২:২৬৪৷

পুরাকালে পাথরের কতগুলা জরুরি ব্যবহার আছিল৷ পাথর দিয়াই পাক-পবিত্র থানের চিহ্ন বা আনসাব বুঝান হইত৷ আনসাবুল হারাম, যার পরে হারাম কাজ করা যাইব না৷ এই সেদিন পর্যন্ত সাহারার তুরেগ তাগো মসজিদ বা নামাজের থান মরুভূমির এক অংশ পাথর ঘিরা বানাইত৷ গ্লাসসের এনসাইক্লোপেডিয়ায় এইরকম একটা ছবি আছে (পাতা ৩৯১ [৩])

পাথরের এই আরবী শব্দ স-ফ মূল হইতে আইছে৷ এই স হইল সোয়াদ৷ বস্তুত আনসাবের শেষ স-ব ধ্বনি এই সুবাদেই আইছে মনে হয়৷ থানের পাথরকে কওয়া হইত সব৷ এইখানে সপ্তাহের একদিনে সমাজের সকলে মিলত৷ সপ্তাহ, সাত, ইংরেজী সেভেন, সাবাত, সভা, টোপ (স্তূপ), টেপে, ধাপ, থামবা এইসবই পাথরের স-ফ কিংবা কোন পুরান জবানে তার রূপান্তর থিকা আইছে৷

আরবী সাবত ও সাববাতের মূল সিন-ব-ত৷ সোয়াদ ও সিন ধইরা বসলে হজরত আদমের (আ:) যুগের কথা কওয়া যাইব না৷

আরবী সাফফাত শব্দটা আইছে সোয়াদ-ফ-ফ মূল থিকা৷ শব্দটার মানে শ্রেণী, বর্গ, লড়াইয়ে সাজানো ঠাট, ছড়ান পাখা৷ সুরা আস-সাফফাত শুরু হইছে "যারা লড়াইয়ের ঠাট গড়ছে৷" শব্দটার পুরান রূপ ধর্মীয় সভাও বুঝাইতে পারে যেমনে হেব্রু সাবা (host) ও সেবাওথ (hosts, যিহোভা সেবাওথ=Lord of hosts)৷ সভা শব্দটার সিন্ধি রূপের (sabaya=assembly) সাথে তুলনা কইরা বুঝা যায় একটা দেশী রূপ সম্ভবত বাঙ্গালা থিকা হারাইয়া গেছে৷

পুরাকালে অনেক সময় ইমারত না বানাইয়া পাথর পুতা হইত৷ পরে এইটা হইছে ভিটার পাথর৷ পাথর আছিল বসার চেয়ার (সোফা)৷ পাথরে রাখা হইত হাত বা পায়ের চিহ্ন৷ তা ছাড়াও পাথরে লিখা থাকত চুকতি, জরুরি নিদেশ৷ পাথর দিয়া সাফ করা হইত, তায়াম্মুম করা হইত৷ তাই পাথরের স-ফ হইতে আইল সাবুন৷

একি সোয়াদ-ফ মূল থিকা আইছে আরবী শব্দ ইসফা (পছন্দ করা), ইসতাফা (পছন্দ করছে; "বান্দা যাগো আল্লাহ পছন্দ করছেন" কোরান ২৭:৫৯ সুরা নমল), মুস্তাফা (যাকে পছন্দ করা হইছে, খুবি ভাল;  "আমাগো চোখে উনারাই নির্বাচিত, খুবি ভালোগো মাঝে" কোরান ৩৮:৪৭-৪৮ সুরা সোয়াদ)৷ সাফ্ফা ও মুসাফ্ফা (খাঁটি বা সাফ করা, "খাঁটি মধু" কোরান ৪৭:১৫ সুরা মুহাম্মদ)৷

হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) মুস্তাফা (ফারসী মোস্তফা) ও সুফীগো সরদার৷ যদিও জানা আছিল খাঁটি (সাফ্ফা) ও মুস্তাফা একি মূল থিকা আইছে, বেবাকেই সুফী শব্দটাকে সাফ্ফা থিকা ভাবে নাই ফলে বেনযামিন কালদানীর আগে মুস্তাফা শব্দটার একমানে সুফীগো সরদার কে করছে জানি না৷ তবে শেইখ সাদির এক কবিতা খুব কাছাকাছি আইছে৷ "ও সাদি, ভাইব না সুফীবাদের পথে মোস্তাফার অনুসরণ ছাড়া চলা যায়৷"

পাথর আছিল দৃঢ়তার উপামা৷ পাথর আছিল সবরের উপমা৷ পাথর আছিল খাঁটি গুণের উপমা৷ পাথর আছিল টান চরিতের উপমা৷

অবিচল অবিরাম ইমান, ভরসা, ধৈর্য, লাইগা থাকা মানেতে সোয়াদ-ব-র মূল থিকা সাববার: "যাও তোমাগো মাবুদগুলায় লাইগা থাক!" (কোরান ৩৮:৭ সুরা সোয়াদ)৷ "... যারা অবিচল ধীর ও কৃতজ্ঞ ওগো লাই..."(কোরান ১৪:৫ সুরা ইব্রাহিম)৷ দৃঢ মানেতে ছ-ব-ত মূল থিকা ছাববাতা : "যখন কোন সেনাদলের দেখা পাও, দৃঢ হও..." (কোরান ৮:৪৫ সুরা আল আনফাল)৷

সবর, সাবারা (সবর করা), সাবির (সবরকারী), সাআবারা (সবরে শ্রেষ্ঠ হওয়া) কোরানশরীফের একটা বারবার কওয়া বিষয়ের ভাব৷ নজির ৩:২০০, ৯০:১৭, ১০৩:৩, ১১:১১, ১৩:২২, ৭:১২৮, ২:১৫৩, ৮:৪৬, ৮:৬৬, ৩:১৪৬৷

সবর সুফী পথের এক মাকাম৷ কবির শাহের এক কবিতায় আছে (পাতা ২০০ [৪] ভারতীয় সংস্করণ),

"শেইখের যদি সবুরি না থাকে,
কাবায় হজ্জে কি লাভ,
যার মন দৃঢ় না
ও খোদার কাছে যাওয়ার আশা কেমতে করে?"

সুফীর কাজ আছিল এই পাথরের উপর নজর রাখা৷ তাই কওয়া যায় হজরত আদম শফিউল্লাহ আছিলেন পয়লা সুফী আর কাবার আসওয়াদ পাথর আছিল উনার সাফা৷

পরে আম্রা সাবিউন-নাছারা ভাবের পুরান নাছারা দিকটার সাথে এই নজর রাখার সংযোগ দেখুম৷

হজরত আদম আছিলেন পয়লা মানুষ, পয়লা মুসলিম, পয়লা সুফী৷ এইটা হইল প্রাক-ইসলামী ইসলামের একটা দিক৷ মুহাম্মদের আলো আরেকটা দিক৷ এই পরের দিকটার একটা ইতিহাসগত ভাগ "মুহাম্মদের আগে আহমদ, হিমদাত, ম্নাহ্হমানা ও পারাক্লেটোস" নামের লিখায় বয়ান করা হইছে৷

হিশাম ইবনে আল-কালবি ওর "পুতুলের বই" নামের গাঁথায় লিখছে কিভাবে পাথর উপাসনা শুরু হয় (পাতা ৭৩ [৫])৷ যখন মক্কায় মানুষের সংখ্যার চাপে হজরত ইবরাহিমের বংশধর রোজগারের লাই ছড়াইয়া পড়ছে, কেউ ভক্তির চিহ্ন পবিত্র ঘরের এক টুকরা পাথর ছাড়া মক্কা ত্যাজে নাই৷ যেইখানে ও বাস নিছে ও ওই পাথর পুতছে আর সম্মানের সাথে তার চাইরদিকে ঘুরছে যেইভাবে ও কাবা তাওয়াফ করত৷ কালে লোকে ইতিহাস ভুইলা যায় ও পাথর উপাসনা শুরু করে৷ গপ্পটা হজরত আদমের কিংবা অপর কারোর বংশধরগোও হইতে পারে৷ ইয়েমেনের ইতিহাস বিবেচনা কইরা করতায়েভ [৬] কেন্দ্রীয় পাথর হাযর ও থানের পাথর সব এই দুই ধরনের পাথরের ভিন কাজ ও তাৎপর্য লখছে৷

সুফীরা আছিল জ্ঞানী৷ আবার কেউ ভাবল পাথরি জ্ঞান৷ তাই পাথর থিকা আইল গ্রীক সোফিয়া আর পুরান মেছেরী সব৷ বহু বিশেষজ্ঞ এই শব্দগুলাকে বিশ্লেষণ কইরা এইগুলাকে তফাত তফাত রাখে৷ এই চেষ্টার ফল হয় ভুল কারণ শব্দগুলার উৎপত্তি সংশ্লিষ্ট জবানগুলায় অক্ষর ও মার্জিত ব্যাকারণ সিরজনের আগে হওয়ারই সম্ভব৷ শব্দগুলার সাধারণ উৎপত্তির কথা বহু আগেই ভুইলা যাওয়া হইছে৷ পরে গ্রীক শব্দ সোফিয়া আবার আরবীতে ঢুকছে সুফিয়া হিসাবে তবে চালু ব্যাকারণের নিয়মে সুফিয়া শুরু হইছে আরবী অক্ষর সিন দিয়া, সাফার সোয়াদ দিয়া না৷ কারণ সাধারনভাবে, যদিও সব সময় না, গ্রীক সিগমা অক্ষরটাকে আরবরা সিন দিয়া লিখছে৷

ভালভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় গ্রীকরা সোফোস সিগমা দিয়া লিখত কেন৷ আরবী সোয়াদ হয় হেব্রু ত্জেদ (tzade) আর গ্রীকরা ত্জেদকে জিটা করত৷ এক দল গ্রীক অক্ষরগুলায় সান নামে একটা অক্ষর আছিল যার পয়দা মনে করা হইত হেব্রু ত্জেদের এক বেকাতেরা রূপ থিকা৷ কিন্তু হেরোডোটাস (১:১৩৯) লিখছে সান ও সিগমার মাঝে শব্দের তফাত খুব আছিল না৷

গ্রীক সেফোস (psephos) মানে নুড়ি ও আরবী সাফা তুলনা কইরা দেখা যায় কেবল পণ্ডিতের এক ধরাবান্ধা নিয়ম মাইনা বনি সেমের শব্দ গ্রীকে ঢুকে নাই৷ এই শব্দগুলা ঢুকছে ও পরিভাষার শব্দ হইছে এমনকি গ্রীকরা ওগো অক্ষরমালা ধার করার আগে৷ পুরান বহু গ্রীক খোঁদাই করা লিখায় অক্ষরমালাকে কওয়া হইছে ফোয়েনিকিইয়া৷ এর কারণ গ্রীক অক্ষর বনি সেমের ফীনিশীয় অক্ষরমালাগুলা থিকা বানান হইছে৷ বস্তুত পাথর মানেতে সাফা সুবাদের শব্দটা ১২শ সাযুপূ সালের থিকাও পুরান যে সময়ের আগে আরবী ভাষা ও আরব গোত্র আম্রা আইজ যেমনে বুঝি তেমনে আছিল না কিংবা থাকলেও তা স্পষ্ট আছিল না (সাযুপূ=সাধারণ যুগ পূর্ব=BCE)৷

গ্রীক শব্দ বেটীল, মানে পাথর, বনি সেমের সংষ্পর্শ দেখায়৷ আল্লাহর ঘর আরবীতে বাইতুল্লাহ৷ যেরুজালেমে হজরত ইবরাহিম গড়ছেন বেথেল৷

খোদার ঘরের চিহ্ন আছিল পাথর৷ এক পালায় ভাবা হইল পাথরি মূল৷ ভাবা হইল পাথরের আছে আত্মা৷ তাই সেপা হইল ভুত, দেবদেবী৷ কামরুসেপা আছিল যাদুর হিট্টাইট দেবী৷ সেপা একটা লুয়ুইয়ান শব্দ মানে আত্মা বা ভুত৷

আলতাই তুর্কী শামানকে কইত কাম, কামলানিয়ে হইল শামানের কাম ও পথ৷ জাপানী শিনতোগো মাঝে কামি মানে একটা আত্মা বা উপাস্য৷ বস্তুত সাবিউন ও শামানগো সম্ভাব্য সুবাদ না জানলে নিচে কওয়া বহু কথাই বুঝা যাইব না৷

আনসাবের মত দেওয়ালে আন্ধারে পথ দেখান বাতির খোপকে কয় মিসবাহ৷ তাই মেসবাহ হজরত মুহাম্মদের (সা:) নাম৷ বেদি আদিতে আছিল একটা পাথর আর এইটাকেও কওয়া হইত মিজবাহ৷ যেমনে "hammizbeh" পাতা ১৬০ দাহুদের Psalms III৷ আরো 1 Samuel 6:14 [৭]৷

সোয়াদ-ফ মূল থিকা আইছে এক শব্দ যার মানে পাহারাদারের মত নজর রাখা৷ ফিলিসতীনে মিজপেহ নামের জায়গাগুলা সম্পর্কে এস আর ড্রাইভার লিখছে সবগুলাই সম্ভবত টান এলাকায় থিতু আছিল এবং পবিত্র থান আছিল৷ ও পাহারাদারের "লখা" মানেতে তসাফাহ থিকা মিজপেহ নামের ব্যুৎপত্তি দিছে৷ ড্রাইভার লখছে যে তেল আস-সাফিয়েহ একটা মিজপেহের বয়ান মানায় [৮]৷ সেপ্টুয়াজিন্টে পেরাই মিজপেহের বদলে মাসসেফা আছে৷ অনেকে কয় কেনানীগো মাঝে বসত করা বনি ইসরইলীগো পিতিমবিরোধিতা থিকা মাসসেবোথ আইছে৷ আসলে এইটা আছিল পাথর যার কাম লোকে ভুইলা গেছে৷

এস্টোনিয়ান শব্দ ইলমাসামবা ও ফিননিশ মাসম্পা বুঝাইত পিরথিম্বীর থাম্বা৷ কিংবদন্তির ফিন বীর ইলমারিনেন সামপো ও আকাশের গোল জোরা দিছে৷ কিছু ল্যাপগো মাঝে কুতুব আছিল দুনিয়ার থামবা৷ নানা তল্লাটের ল্যাপরা নিজেগো কইত সামি, সাম, সামলযা, সামবে কিংবা সাবমেলাস৷

ফিননিশ ইলমা শব্দের আদি মানে করা হয় আকাশ ও বাতাস৷ পুরাকালের ফিনগো আকাশের দেব ইলমারিনেনের নাম আইছে এই শব্দ থিকা৷ ল্যাপ শামানের এক ঢোল দেব ইলমারিসকে দেখায়৷

সহিফা, সুহুফ (বই) ও সিপারা (বইয়ের ভাগ) শব্দগুলাও মনে হয় আদিতে পাথর থিকা আইছে৷ আরবীতে অবশ্য সহিফার মূল সোয়াদ-হ-ফ৷ সিপির মানে আকাশ আর তাতে তাজ্জব হওয়ার কি আছে কারণ আকাশ আছিল শীলার মত শক্ত বলয় বা ফির্মামেন্ট৷ সংস্কৃত আসমান মানে পাথর যার ইন্দো-ইউরোপীয় মূল আক- বুঝাইছে ধারাল৷ এক হইল ধারাল খুন্তার এক দাগ৷ আরবী সামায়া শব্দেও মনে হয় পাথরের ভাব আছিল৷

সাবাওথের সাবিউন সংযোগ সন্দ করা যায় নিকোলাইটানগো উপর এপিফানিউসের খবরে ইয়ালডাবাওথ ও সাবাওথের মিশাল থিকা৷ ওফাইট একটা গ্নষ্টিক খৃষ্টান দল আছিল৷ কিছু পণ্ডিত মনে করে নিউ-টেস্টামেন্টের ইফেসিয়ানস ৫:১২ নিকোলাইটানগো ভোগ-বিলাস কিংবা উচ্ছৃঙ্খলতার ইংগিত দিছে৷ গ্নষ্টিক খৃষ্টানগো উপর সাবিউন গ্নষ্টিসিজমের পভাব আছিল যে কথা পরে বয়ান করা হইছে৷ এপিফানিউস ওগো বয়ান করছে খৃষ্টান দৃষ্টিভঙ্গী অনুসারে৷ ইফসিউস আছিল তুর্কীদেশে৷ সন্ত নিকোলাসের একটা ইতিহাস খাঁড়া করার তাজ্জব চেষ্টা, ফিননিশ সানটা ক্লস, পুরান তুর্কীদেশের বাবা নিকল ইত্যাদির বিচারে মনে হয় নিকোলাইটানগো আদি গুরু নিকোলাসই সন্ত ক্লস হইছে৷

ফিননিশ সংযোগ উড়ালিক-আলতাই দুনিয়া ও তার শামান মনে করায়৷ উত্তর রাশিয়ার উড়ালিকভাষী সামোয়েদ পেরায় হালফিল পর্যন্ত শামানী ধর্ম মানত৷

এখন আম্রা প্রাক-ইসলামী সুফী ও সাবিউনগো সম্ভাব্য সুবাদ আলোচনা করুম৷ আরবী সাবিউন নামের মূল সোয়াদ-ব(-আলিফ)৷ নামটা আছে কোরানের সুরা মাইদায় ৫:৬৯ ও সুরা হজ্জে ২২:১৭৷

কোরানশরীফে ইুহুদী ও খৃষ্টধর্মের মত সাবিউন ধর্মের স্বীকৃতি আছে তবে ইহুদী ও খৃষ্টানগো মত সাবিউনগো বদনাম নাই৷ আল্লাহর রসুলের সময় সাবিউনগো রাকুসি নামে একটা দল আছিল৷ বিখ্যাত দাতা হাতিম তাঈয়ের পোলা আদি রাকুসি আছিল আর ও রাকুসি মতের আড়ে চৌথা আদায় করে এই কথা রসুল (সা:) আদি বিন হাতিমকে জানাইলে আদি রসুলকে অসাধারণ ভাবেন ও ইসলাম মাইনা নেন৷ কেউ কেউ রাকুসিকে আধা সাবিউন ও আধা খৃষ্টান ভাবছে৷ তবে খৃষ্টধর্ম সাবিউন-নাছারা ভাবধারা থিকা গজানো হরেক মতের এক মত৷

খৃষ্টান পণ্ডিতরা নানা কারণেই সাবিউনগো ইতিহাস বিকার করার চেষ্টা করছে৷ এক কারণ হইল হইল খৃষ্টধর্মের জনমরহস্য লুকাইয়া রাখা৷ সাবিউনগো মাঝে আছিল হজরত ইয়াহিয়ার আদি অনুসারী যাগো সাথেই আছিল সামারিটানগো মাধ্যমে গ্রীক-রোমান খৃষ্টানগোর আদি আড়াআড়ি৷ একদিকে ইসলাম ও খৃষ্টধর্মের এবং অপরদিকে গ্রীক-রোমান খৃষ্টধর্ম ও হেরেটিক আখ্যা দেওয়া খৃষ্টান বিনষ্ট দলগুলার হারানো সংযোগ সাবিউন ধর্মের মাধ্যমে অনেক বুঝা যায়৷

নানা কারণেই হারানো প্রাক-ইসলামী ইসলামের খবর সাবিউন ধারায় লখা যায়৷

ইহুদী-মিদিয়ানী ঝগড়া ও পরে হজরত ইয়াহিয়ার উম্মত ও সামারিটানগো সাথে রোমান ও খৃষ্টানগো ঝগড়ায় হাইরা যাওয়া পেরায় বিনাশ হওয়া মিদিয়ানী এবং সামারিটান ও হজরত ইয়াহিয়ার উম্মতের একভাগ সাবিউনগো মাঝে আশ্রয় নিতে পারে৷

সাবিউনগো বংশধর কিংবা ভাবসূরি দখিন ইরাক ও খুজিস্তানের আস-সুব্বা৷ সুব্বাগো ভাষা আছিল আরামেইক বা পুরান সিরিয়াক৷ তবে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞগো পকাশ করা ওগো সাহিত্য ঢের ইরানী কিংবা শক পভাব দেখায়৷ মিশাল ইতিহাসের বয়ানে বিকার করার যথেষ্ট সুযোগ থাকে৷ যদিও রাজনীতির কারণে ওগো উপর শক, ইরানী, কুর্দী, গালজু (কাসাইট) ও আরো অনেক ইন্দো-ইউরোপীয় পভাব থাকা সহজ সাবিউন ধর্ম মূলে একটা বনি সেম ধর্ম যাকে কওয়া যায় হজরত শিছের থিকা শুরু৷

উত্তর সুরিয়া ও উত্তর ইরাকেও সাবিউন দল আছিল৷ হাররানের কাছের সাবিউনরা তারাপুজারী নাম পায়৷ নাম লোকে না বুইঝাও দেয়৷ তবে এই তল্লাটে মুশরিক পভাব বেশি আছিল৷

আবার ওগো হজরত ইয়াহিয়ার অনুসারীও কওয়া যায়৷ ওরা হজরত ইয়াহিয়ার পদবী দেয় আস-সাবি, হজরত জাকারিয়াকে কয় সাবা জাকারিয়া৷ ওগো গোছলের কথা হজরত ইয়াহিয়ার সিবগাত (ব্যাপটিজম) মনে করায়৷

সাবিউনগো ঘনঘন গোছল করার গপ্পের ব্যাপারে তিনটা কথা জরুরি৷ এক, উচ্চারণে সাবিউন ও সিবগাত তরতম হয় মূলত আইন ও গাইনের লাই৷ সিবগাত আইছে স-ব-গাইন মূল থিকা৷ কিছুলোক গাইন, আইন ও আলিফ ঠিক আরবীর মত উচ্চারণ করে নাই৷

দুই, গোছল ও ওজু দিয়া শরীর থিকা নাপাকি দুর করার তাগিদ ইসলামে যতটুকু আছে ইহুদী মূল সোন্তে ততটুকু নাই পশ্চিমা খৃষ্টধর্মের কথাতো বাদ৷ মনে করা যাক নারায়ন সিং হরকরা সিরাজুদ্দৌলাকে কইছিল "আমাগো মান আর রইল কই যারা এখনো পায়খানা কইরা পিছ পরিষ্কার করতে শিখে নাই (হামোজ বাকুন-শুসতান খোগার নাশুদা) ওরা নবাবের দূতকে বেইজ্জতি করে৷" তবে মূল সোন্তের বাইরে কোন বা মাযহাবে পাকছাফের কঠিন আইন আছিল যেমনে এক দল ইসসেনের পায়খানা কইরা পাক হওয়ার ব্যাপার পশ্চিমা পাণ্ডিত্যের নজরে আইছে৷

রাববাই আবরাহাম ইবনে মাইমোনিডেস, যিনি আছিলেন মধ্যযুগের সুবিদিত দার্শনিকের পোলা, কইছেন ওজু ও নামাজের সিজদার মত মেলা আচার পুরাকালের ইহুদী ধর্মবেত্তারা মানতেন [৯]৷ তবে পরে আচারগুলা বাতিল করা সুবাদে উনার কওয়া কারণ মনে হয় পুরা ঠিক না৷ আসলে মনে হয় রোমানগো সাথে লড়াইয়ে মেলা ধার্মিক লোক মরছে৷

তিন, সাধারণ বিশ্বাস এইযে খৎনার নিয়ম শুরু হইছে সাবিউন ধর্ম আহনের পরে হজরত ইবরাহিম থিকা৷ খৎনা না করা মুসলিমের গোছলের নিয়ম একটু ভিন৷

তবে সরার কমসেকম তাগিদ সমাজের বাইরের ভাব দেখাইলেও খুব ধার্মিক মুসলিমের আধ্যাত্মিক ভাবের কথা কয় না৷ ধার্মিক মুসলিম পেরায় সব সময় ওজুর স্তরে থাকতে চায়৷ অনেক সময় অবশ্য পেরেসানি দেখা যায়৷ কায়ার পাক-পবিত্রতার এই কাজগুলা সম্পূর্ণ করার লাই ওরা আল্লাহর কাছে দোয়া, তওবা এমনকি তাইহাতুল ওজু দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে৷ বিখ্যাত সুফী বায়াজিদ বিস্তামী কইছেন, "যখনি পরকালের কথা মোর মনে হয়, গোছল করি৷"

জুম্মার নামাজের আগে গোছল করার তাগিদ আছে৷ সাতরা দিনে লোকে সংসারের কাজ থিকা সুবাত (অবসর; কোরান ৭৮:৯,২৫:৪৭)) নিত, গোছল কইরা পাথর দিয়া চিহ্নিত পবিত্র থানে যাইত৷ শান্তির লাই সুবাত, সুবাতই শান্তি৷

সাবিউন সাধারণকে কয় মান্দাইয়ান বা গ্নস্টিক৷ জ্ঞানের সাথে সবের সুবাদে এইটা সন্দ করা কঠিন না যে পুবে শামান কথাটা সব বা তার কোন রূপান্তর থিকা আইছে৷ ব যে ম ধ্বনির কাছের তার নজির দেখা যায় লেবু ও লেমুর মাঝে৷

তুর্কীগো পুরান ধর্মকে এখন কওয়া হয় শামানিজম৷ শামান নামটা তুরানের ব্যাপারে এত সাপটা যে কিছু বিশেষজ্ঞ নামটাকে মূলে তুঙ্গুস ভাবছে আর মনে করছে সংস্কৃত শ্রমণ বৌদ্ধগো মাধ্যমে তুঙ্গুস শামান থিকা আইছে৷

হেরোডোটাস কইছে পারসা সাম্রাজ্যে থামানাইয়ান নামে এক গোষ্ঠী আছিল৷ ভোগেলসাং থামানিয়ানগোর বসত খোয়ারিজিমের কাছে কোথাও ভাবছে৷ এরা যে শামান তা বুঝা যায়৷

দশ শতকে সামানী নামের হানাফী মুসলিম বংশ মার্ভ ও বুখারাসহ খুরাসানে রাজত্ব করত৷ ওগো মুসলিম পুবপুরুষ সামান খুদা আছিলেন বলখের লোক৷ সামান খুদা আছিলেন বাহরাম সুবিনের এক বংশধর৷

পাঞ্জাবে ও ভারতে সন্ত টমাসের কাজকাম মনে করা যায়৷ কেরালায় টমাস নামটাকে তোমা(ন) কওয়া হইত৷ পয়লা হরেক জবানে কিছু ধ্বনির সম্ভাব্য উলটপালট লখা যাক৷ ইসলামের পয়লাকালে সাবিউনগো পধান শহরের নাম আছিল তিব৷

তিব শব্দটার সাথে আরোগ্য বা শুভ মানের সংযোগ আছে৷ তবে পুরান ইরাকের হরেক জবানের জটিলতায় স ধ্বনি ত য়ে পালটাইতে পারে৷ ইসলামের পয়লা যুগে সোয়াদ এলাকায় (মাঝ ইরাক) সত্তরটার মত ভাষা চালু আছিল৷ হেরোডোটাস একের বেশি সিস্সিয়ার কথা কইছে৷ এক সিস্সিয়া আছিল খুজিস্তানের সুসার আশপাশ৷ আরেক সিস্সিয়া মনে হয় মাঝের যুগে আছিল তুস যা আছিল পুরান নিশাপুর বা আধুনিক মাশাদ৷

সিন্ধের থাট্টায় আন্দাজ বারতোলমাই নামের একদল ফকির আছিল৷ ওদের কথা আছে আর এ ট্রোটটারের লিখা "সিন্ধে খৃষ্টধর্ম" নামের রচনায় [১০]৷ কেরালায় চালু টমাসের নামের সাথে তুলনা কইরা মুঞি নামটাকে বার তোমা(ন) হিসাবেই ভাবতে চাই৷ বারথোলমিউ যে টমাসের মত ইন্দো-পার্থিয়ায় খৃষ্টধর্ম পসারে আইছে এইরুপ গপ্পও আছে৷ তবে ওই ধারা আরো দুর্বল৷

বস্তুত কেউ বা সন্দ করতে পারে বারথোলমিউ নামটা বার তোমান নামটার বিকার, ওর চরিত সন্ত টমাসের ছায়া, কালে দিরূপ হইছে৷ খৃষ্টান ধারায় চালু হজরত ঈসার বার শিষ্যের নামগুলার পুরা ও বিচার করা কিম্তু জুতসই সংযত নিকষ পরখ এখনো নাই৷ বারবার একি কথা আওড়ান ভুলকে ঠিক করে না৷ ভুল যদি শুরুতে থাকে মাঝখান থিকা সাক্ষ্যের পরপরা দাবী কইরা কি লাভ ?

বারতোলমাই, আমাগো বিচারে বার তোমান জাতীয় নামের একটা রূপান্তর৷ নামটাকে যেমনে বিচার করা হইছে থামানিয়ানগো নামের আলোকে, তেমনে সিন্ধের থাট্টা ও দাদুকে সংশ্লিষ্ট করা যায় হেরোডোটাসের কওয়া সাট্টাগীডিয়ান ও ডাডিকে নামের দুই গোত্রের মিরাসের সাথে৷ ওরা ওইসময় হালের পাকিস্তানের পশ্চিমে বসত করত৷

হালে ভারতের পুবতটে মাদ্রাজের কাছের মাইলাপুর শহরে সন্ত টমাসের কবর আছে কওয়া হইলেও আগে পাঞ্জাবেও এবং সম্ভবত বলর তল্লাটে টমাসের কবর আছিল মনে করা হইত৷ বলর কিরঘিজগো দেওয়া গিলগিটের এক পুরান নাম৷ নামটা বাল্টিস্তানের মাঝে টিকা থাকতে পারে৷ তিন ম্যাগির একজনের নাম আছিল বালতেসর৷ এর মানে করা যায় বলরের রাজা৷ আরেকজন আছিল হিন্দের ক্যাসপার মানে গজনফর (Gondophernes) গপ্পে যার সাথে টমাসের দেখা হয়৷ আম্রা বলর নামটা যোগ করতাছি এই কারণে যে পশ্চিমে এক সময় বিশ্বাস করা হইত টমাসের কবর বৈরুতে৷ বাঙ্গালায় ড় য়ের মত ট় নাই৷ তাই লর কেমতে রত হইল তা সহজে বুঝা যায় না৷

সুলাইমান মাইলাপুরকে কইছে বাইত-তৌমা বা বেতৌমাহ (পাতা xxv সূচনা [১১])৷ বাইত-তৌমা মানে তৌমার বাড়ি বা দেশ৷

এখন বুঝা যায় নিকোলো কোনটি ক্যান বর্ধমান সফর করতে পারে৷ কোনটি মাইলাপুরও সফর করছে৷ আরেক জায়গায় আম্রা দাবী করছি দখিন পশ্চিম বাঙ্গালার সুহ্মা যার একভাগের নাম আছিল সুব্বাভুমি আছিল সাবিউনগো দেশ৷ সুব্বাভুমিও পণ্ডিতের সিরজন তবে ওইটা সুহ্মার মত অতবড় বিকার না৷ খুবি সম্ভব যে বর্ধমান নামটা রাঢ়ের সাবিউনগো কাছ থিকা আইছে এবং আদিতে তা বার তোমান কিংবা বাইত-তৌমা বুঝাইত৷

পুরান সিবিগো একটা রাজত্ব দখিন পশ্চিমবাঙ্গালায় আছিল৷ শাহ সেকান্দারের কালে সিন্ধে এক সিবায়ে গোত্র বসত করত৷ সিন্ধের সৌভিরা থিকা যেমনে বাঙ্গালায় শবর আইছে, শাহ সেকান্দারের কালের সিন্ধের ওরাবিতে যেমনে উরিয়া নামটা দিছে তেমনে পুরানকালের বর্ধমানের সিবি একই মিরাসের৷

সাবিউনগো সাহিত্যে হজরত শিছের নাম আছিল শিতিল৷ উনি সাবিউন ধর্মের একটা বিশেষ চরিত আছিলেন৷ পশ্চিমবাঙ্গালার রামাই পণ্ডিতগো মাঝে কিছু শেতাই পণ্ডিত আছিল৷ এই রামাই নামটা আরবের সাবিউনগো পুরোত রামুইয়ার সোসর৷ রামুইয়া নাম আরামেইক রিমমনের (সম্ভবত আরবী আর-রহমান) ইবাদতের থিকা আইছে৷ তাই মনে হয় শেতাই নাম শিতিলের গুণবয়ানের সাথে জরিত৷ আফগানিস্তানে ঘুরিগো মাঝে ইসলাম নেওয়া পয়লা গোত্রের নাম আছিল শিছের গোষ্ঠী৷ দখিন পশ্চিমবাঙ্গালার সিবি রাজ্যের রাজধনির নাম আছিল জেতুত্তরনগর (পাতা ৫৮৭ খণ্ড ২ [১২])৷

এই পিছনপট মনে রাখলে এইরকম না মাইনা না নেওয়া কঠিন যে টোমাস নামটার পয়দা পুবে যাগো শামান কওয়া হইছে ওগো একজনের গপ্প থিকা৷ জন ১১:১৬, ২০:২৪ ও ২১:২ য়ে কওয়া "ডিডাইমুস নামের টোমাস" বা জমজের টোমাস খালি টোমাস রুপকথা তৈরিতে ব্যস্ত লোকগুলার নাজানা হাল ভালো কইরা দেখায়৷ ইয়েমেনের তুব্বা নামটাও শামান সুবাদের নাম হইতে পারে৷

বুঝা যায় সাবিউন-নাছারা (সেবিয়ান-নাজারিন) চিন্তাধারার শুরু৷ তৎসম শব্দ সেবা বা দিশী শব্দ সহায় দেখায় আরবী নছর কথাটার সংযোগ৷ আবার পাথরে সব ও লখা মানেতে নজর মিলছে৷ খোদার সেবা মানে খোদার ছিষ্টির সেবা৷

এখন আম্রা সাবিউন ও শামানের সাথে পশ্চিমের থেবেস নামটা তুলনা করি৷ পুরাকালের গ্রীকরা মানত ফীনিসিয়ান বীর কাডমাসের সাথে কিছু আরব গ্রীসে আইছিল৷ ওদের বংশধর বিওশিয়ার পুরান শহর থেবেস পত্তন করে৷ থেবেসের সাথে হেরাক্লেসের ঢের সংযোগ আছিল৷ আররিয়ান লিখছে সিন্ধে হেরাক্লেসের কুটুম্বগো বংশধর যারা দাবী করছে ওগো মাঝে আছিল সিভি (সিবি) গোত্র৷ হেরাক্লেসকে আরব নবী হান্ধা (ইন্দ্রো) মনে হয়৷ হান্ধা নামটা কোরানশরীফে নাই তবে সুরা আর-রাসে উনার কথা আছে৷

আমুন (আমমোন) আছিল মেছেরের পুরান শহর থেবেসের মাবুদ৷ এই থেবেস আছিল হালের পুব মেছেরের শহর আল-কারনাকের কাছে৷ থেবেসকে তাই কওয়া হইত আমুনের শহর৷ আমুন মানে লুকান৷ তবে আমুন ও গ্রীক নাম থেবেস দুয়োই পাথর ও শামান সংযোগ দেখায় কারণ আ ধ্বনি হা থিকা আইতে পারে৷ আরবীতে হামান নামটা আছিল পুরাকালের ইরান ও মেছেরে পুরোত কিংবা পুরোত মন্ত্রী বা সম্রাটের পধান উপদেষ্টা৷ হারমোতিবিয়ান আছিল মেছেরের যোদ্ধা দল৷

প্লুটার্কের জীবন নামের গাঁথায় আম্রা পড়ি মেছেরে থাকার কালে শাহ সিকান্দার মরুভুমি পাড় দিয়া "লিবিয়ার আমুনের" মন্দিরে যাওয়ার লাই এক দূর্গম সফরে বাইর হন (পাতা ৩০১-৩০৫ [১৩])৷ এই মন্দির আল-কারনাকের আমুন-রার পধান মন্দির আছিল না৷ মেমফিসের ঠিক পশ্চিমে পশ্চিম মেছেরে থিতু সিওয়াহ নামে এক লিবিয়া মরুদ্যানে এই মন্দির আছিল৷ ফক্স সন্দ করছে সিওয়াহর মাবুদ লিবিয়ান উৎপত্তির যাকে মেছেরের লোক নিজেগো জবানে আমুন ভাবছে (পাতা ১৯৭ [১৪])৷

এক জবানে সিওয়াহ আরেক জবানে থেবেস৷ এইটাও একটা নজির কেমতে স আর থ উল্টাপাল্টা হয়৷ আরবী ছেহ্ (ث ) মেলা সময় থ দিয়া লিখা হয়৷

কাতারাগামার কথা এইখানে আছে
http://www.xlweb.com/heritage/skanda/islamic.htm
http://www.xlweb.com/heritage/skanda/dionysus.htm

এইখানে দুইটা পসঙ্গ আহে৷

      এক, শ্রি-লংকার সামানালা কান্দা ও কাতারাগামা৷
      দুই, ফীনিশীয়গো ও সাধারণভাবে বনি সেমের নৌ-বানিজ্য৷

সামানালা কান্দা শ্রি-লংকায় বৈদিক হিন্দু কিংবা বৌদ্ধ পভাব আহনের চাইতে পুরান৷ এইটা বুঝা যায় ফা হিয়েনের বয়ান থিকা৷ ও কইছে আদিতে দেশটায় জিন-ভুত ও নাগা ছাড়া কোন বাসিন্দা আছিল না এবং ওগো সাথেই নানা দেশের বণিক তেজারতি করত৷ (পরে) বৈশ্য মুরুব্বি ও সাবাইয়ান বণিক শহরে সুন্দর ঘরবাড়ী বানাইছে৷ বৈশ্য নামটা ফা হিয়েন ব্যবসায়ী না কুশান ব্যবসায়ী বুঝাইছে? এইখানে ব্যবসায়ী হিসাবেও বৈশ্য কথাটা খাপ খাইলেও মনে হয় এইটা ফা হিয়েনের লিখার এক হিন্দুপেমিক পাঠ৷ ফা হিয়েন বৌদ্ধ পণ্ডিত আছিল৷ শ্রি-লংকা আছিল গুপ্ত সাম্রাজ্যের বাইরে৷ বাংলাদেশ ও ভারতে ফা হিয়েন আছিল ছয় বছর (৪০৫-৪১১সাঃ)৷ ওইকালে তেজারতিতে কুশানগো পবল পভাব থাকার কথা৷

আম্রা জানি শ্রি-লংকার আদিবাসি আছিল ভেড্ডা৷ ভেড্ডাই হোক আর নাগাই হোক, আম্রা ফা হিয়েনের লিখায় পুরান বনি সেম ও তুরানী সংযোগ দেখি৷ তেমনে সামানালা কান্দার মাঝেও একই বনি সেম ও তুরানী সংযোগ দেখা যায়৷ ভেড্ডাগো পধান দেব আছিল কানদে ইয়াকা ও ওর ভাই বিলিন্দি ইয়াকা ([১৫])৷ মৌখিক কিচ্ছা-কাহিনীতে পাওয়া যায় প্রাক-ইসলামী তুর্কীগো মাঝে সবচাইতে উপরের আকাশের পহুঁর নাম আছিল কাইরা খান কিংবা বাই উয়েলগেন কিংবা খীদীর (পাতা ৯৯ [১৬])৷

মনে হয় ফা হিয়েনের লিখায় জিন-ভুত পরিচয়ও ঠিক বুঝা হয় নাই৷ এইখানে ভুত নামটা পুত বা ভোজা (মাজুস, আদিতে মাগান বা ওমানের বাসিন্দা) নামটার বিকার হইতে পারে৷ মোটকথা কাতারাগামার কাছে আদমের চুড়ার কথা বনি সেমের সামান ও বণিকরা শ্রি-লংকায় আর্য কিংবা বৌদ্ধধর্ম ঢুকার আগেই জানত৷ ইসলামী কিচ্ছা-কাহিনীতে পাওয়া যায় হজরত আদম (আ:) এই চুড়ায় নামেন৷

বাংলাদেশের সোনারগাওয়ের কাছে একটা জায়গা আছিল যার নাম নানাভাবে লিখা হইছে-- কাতারেসুন্দর, কোঙগারসুন্দর, কুমারসামুন্দর, কোয়ারসুন্দর৷ ইরানী ভূগোলবিদ ইবন খুরাদাদবিহ (ম:৮৮৫সাল) ও আরব ভূগোলবিদ ইদ্রিসি (ম:আন্দাজ ১১৫০সাল) সামান্দার নামে একটা বাজার বাংলাদেশের উপকূলে আছিল কইয়া জানাইছেন৷

মনে হয় কাতারেসুন্দর নামটা কাতারাগামার মত এক প্রাক-ইসলামী খিজির মোকামের দায়ভাগ যা মাঝি ও বণিকরা নিয়া আইছিল৷ খিজিরের জ ধ্বনির উচ্চারণ সহজ না৷ ইংরেজিতে অনেক সময় Khidhir লিখা হয়৷ এই জ ধ্বনিই পুরান ভারতে ত হইছে৷ গাঙের পাড়ের খিজির মোকামের মত থানের নামে একটা কত ধ্বনি বাংলাদেশে দেখা যায়৷ যেমনে ঈসা খানের এক রাজধানীর নাম আছিল কর্তাবো আরেক রাজধানীর নাম আছিল খিজিরপুর৷ হিন্দুরা অনেক সময় এই কত ধ্বনিকে কার্তিক নাম থিকা আইছে মনে করে৷ আসলে পশ্চিমে যাকে খিজির কয় পুরাণে উনাকেই কার্তিক কওয়া হইছে৷

লিবিয়ানরা ফীনিশীয় নাবিগো ও নৌ-বানিজ্যের মিরাস পাইছে৷ বস্তুত পরে রোমানরা লিবিয়ানগো পিউনিক কইত৷ নানা বিশেষজ্ঞগো মতে বণিক, পণ্য ইত্যাদি শব্দগুলার সাথে ফীনিশীয়গো সম্পর্কের কথা বহু জায়গায় বয়ান করা হইছে৷

সাবিউন সাহিত্যে হজরত আদম (আ:) ও উনার তিন পোলা হজরত শিছ, হাবিল ও এনোস সম্পর্কে পবল উৎসাহ দেখা যায়৷ বাইবেলে এনোশ হজরত শিছের পোলা৷ তবে নাম তিনটাকে রূপকও মনে হয়৷ মনে হয় সাবিউনগো কাছে এনোস আছিলেন হজরত ইয়াহিয়া (পাতা ৩৯ [১৭])৷ খৃষ্টান সাহিত্যে দেখা যায় এলিযা হজরত ইয়াহিয়ার উপাধি আছিল৷

ইবনে নাদিমকে সাবিউনরা কইছে সাবিউন ধর্ম শুরু করেন আল-হাসিহ৷ এর মানে হইতে পারে (আরেকজন) এলিযা বা আল-ঈয়াসা৷ পুরান খৃষ্টান রচনায় আল-হাসিহ নামটা এলকাসি হিসাবেও পাওয়া যায়৷ এপিফানিউস ওর হিংসাভরা লিখায় জানায় এলক্সাইয়ের সাথে যেক্সাই নামে এক ভাই আছিল (পাতা ৫৬ বা ১৯.১.৪ [১৮])৷ এলক্সাই ও যেক্সাই নাম দুইটা মনে করায় হজরত আল-ঈয়াসা ও হজরত খিজিরকে যে নবীগো কথা ইসলামী গপ্পে অনেক সময় একসাথে পাওয়া যায়৷ তুর্কী শব্দ হিড্রেলেজ (খিজির-ইলিয়াস) বসন্তের শুরু বুঝায়৷

যেক্সাইকে মেক্সিকোর সোকসৌহকি (Xoxouhqui "সবুজ") য়ের সাথে তুলনা করা যায়৷ খিজির নামের মানেও সবুজ৷ সোকসৌহকি মেক্সিকোর থ্লালোকের (Tlaloc) এক নাম যাকে এশিয়া মাইনরের টারকুর সাথে তুলনা করা যায় (পাতা ২০৯ [১৯])৷

এনোস ও এনোক ভিন লোক আছিলেন৷ মুসলিমরা এনোককে হজরত ইদ্রিস (আঃ) ভাবে৷ ইদ্রিস হজরত আল-ঈয়াসার সোসর৷ সুফী ইবনুল আরাবী উনাগো একি আত্মা ভাবছেন৷ টোমাস মেরটোনের লিখায়,

"ইদ্রিস-ইলিয়াস: দুই নাম
একি তারা, একি নবী৷"

"আসলে" আল-ঈয়াসা (এলিযা, গ্রীক Elias) ও ইলিয়াস (Elisha) এক নবী আছিলেন না৷ উনাগো অসাধারণ লম্বা আয়ু, যা পর্দার আড়াল থনে নির্ধারিত সময়ের আগে শয়তানের সুযোগ খোদার এইছান্দ পরিকল্পনায় যালিম অবিশ্বাসীগো বিরুদ্ধে সংগ্রামরত মুজাহিদগো সহায় নিজেগো উৎসর্গ করার এক বিশেষ ভাব দেখায়৷ এই মরমীবাদের পভাব তিনটা ধর্মেরি ইতিহাসে দেখা যায়৷ কারবালার ঘটনার আগে এইটা সুফীগো অন্তর জুইড়া আছিল৷

বানু শাইবা বা শাইবিউন কাবাশরীফের নজরদার আছিল৷ ওগো কাছে কাবার চাবি থাকত৷ তাই পেরায় হাল পর্যন্ত ওরা কিছুটা বিশেষ সম্মান পাইত৷ প্রাক-ইসলামী যুগে সুফাহ নামে কাবার একদল পরিষদ আছিল৷ ওরা একটা ক্ষয়ী সংগঠন আছিল৷ মনে করা হয় চাবি শব্দটা কাস্টেলানার জবান থিকা আইছে [২০]৷ এইরকম ভাবার কারণ আছে যে শব্দটা আদিতে মধ্য-প্রাচ্য থিকা আইছে৷ বিশ্বাস করা হয় বনি সেম ফীনিশীয়রা দখিন স্পেনের টারশিশ (হালের কাদিজ) পত্তন করে সাযুপূ ১০০০ সালের দিকে৷ ইট্রুসকান বা টীরহেনিয়ান নামে ল্যাটিনগো আগের ইতালির এক গোত্র হালের তুর্কীদেশ থনে পরিষাণ করছিল সম্ভবত সাযুপূ পয়লা হাজার বছরের শুরুতে৷ ল্যাটিনগো তাড়া খাইয়া কিংবা সাপটাভাবেই ওরা স্পেনে যায় এবং এইভাবে আইবেরিয়া পাতিদিয়ার টাররাগোনিয়ানগো পয়দা হয়৷

কেউ ভাবছে সুফী নাম আইছে কিছু সুফীগো পড়া উলের জামার সুফ বা উল থিকা৷ জামায়ে সুফ তাই বুঝায় সুফী ও সুফীবাদের পোষাক৷ এই জামা ফারসী শব্দ৷ আরবী জামা' মানে গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়৷ সেই সুবাদে কথাটাকে সুফীগো দল হিসাবেও ভাবা যায়৷ ড্রোয়ার দখিন ইরাকের ("জলার") সাবিউনগো য়ামা দ-সুফ কথাটার মানে করছে নলখাগড়া সায়র (Reed Sea) কিংবা শেষের সায়র এবং লিখছে য়ামা দ-সুফ পাড়ি দেওয়া বুঝায় বস্তুর হাল থিকা আত্মার জগতে পইঠান৷

আল-কুশায়রি বুঝছেন সুফীবাদ একটা দেওয়া নাম এবং আস-সাফা, আস-সুফফাহ, আস-সাফ ও আস-সুফের পয়লা ইসলামী ব্যাভার থিকা সুফীবাদ শব্দটা আইছে এই বাখানগুলা মূলত ব্যাকারণের নিয়মমাফিক পেরায় অসম্ভব৷

ইবনে খালদুন লখছেন যে সুফীগো ওগো নিজেগো ভাষাতত্ত্বের নিয়ম ও উপমা আছে৷ অবসরের বছরগুলায় ইবনে খালদুন (মঃ১৪০৬সাঃ) শাধিলিয়া তরিকার সুফী হন৷ উনি উনার বইয়ের সংস্কার করা বাদ দেন নাই৷ তবে আল-কুশায়রি যা কইছেন তার বাইরে সুফীবাদের ইতিহাস লিখতে পারেন নাই৷ যদিও হজরত মুহাম্মদের (সাঃ) কাল থিকাই সুফীবাদ আছিল, ইবনে খালদুনের মতে নামটা আছিল না৷

ওগো নাম কোত্থিকা আইছে আদতে সুফীগো সেই সুবাদে কোন উৎসাহ আছিল না৷ পচা শাসকরা সুফীগো ভয় করত৷ ওরা বেতনভুক আলিম লাগাইছে সুফীগো ভিতে আক্রমণ করার লাই৷ ফলে সুফীগো টাইনা আইনা বিতর্কে জড়ান হইছে৷

বেশিরভাগ মুসলিম বেত্তার অনুমানের ভিত্তিতে ইতিহাস চর্চায় গভীর উৎসাহ আছিল না যেই বিষয়ে পাক ও নাপাক ভাব মিশাল৷ নজির হিসাবে চাবির কথা ভাবা যাক৷ ব্যাভারে চাবির সাথে কর্তৃত্বের সংযোগ আছে৷ জ্ঞানের চাবি কথাটা দেখায় চাবির সাথে জ্ঞানের সংযোগ৷ কারোবা মনে চাবির সাথে জনন পূজার আধা পুঁতা পাথরের সংযোগ হইল বিশেষত চাবিতে যখন পতিসমভাবে দুইটা বলয় যোগ করা হইছে৷ শেষের এই সংযোগটা মেলা সময় মুসলিমগো পুরাকাল সুবাদে অনুমান করতে বাধা দেয় কারণ বেশিরভাগ তাড়ের সংস্কৃতি মুসলিম আছিল না৷ জঘন্য ময়লায় হাত দিতে কে চায় ? আদম শফির প্রাক-ইসলামী ইসলামে ময়লা লাগছে আর শেষ নবী মুস্তাফা দিছেন ছাফ করা ইসলাম৷

ইবনে খালদুন যে কইছেন যে সুফীগো ওগো নিজেগো ভাষাতত্ত্বের নিয়ম ও উপমা আছে ওইকথা হজরত আদমের (আঃ) সুবাদে পুরান বাঙ্গালার এক ঘটনা মনে করায়৷ পুঁথির নকলে যে আদম শফি আদম সুফী হয় তা কি ভুল ? ইংরেজ শাসনের কালে বাঙ্গালা অর্থগ্রাফীর উলটপালটে আদম শফি হইতে পারে আদম সফি আর পরে সফিকে করা হইতে পারে সুফী৷ আবদুল হাকিমের দুররে মজলিশ (সভার মুক্তা)

"কোথাতে আদম সুফী চাহ অনুমানি৷"

আবদুল ওয়ালীর পাওয়া (সম্ভবত কেরামতুল্লাহ গোলাম কিবরিয়ার লিখা) আউল, বাউল ও দরবেশ এই তিন পথ কিংবা মাকামের বাখান,

" দরবিশ আদম সফী এই তক হদ৷"

দরবিশ কথাটা সম্ভবত দেখায় এইখানে হজরত আদমকে সুফী হিসাবেই ভাবা হইছে৷ পয়লা মানুষ হজরত আদম (আঃ) আছিলেন পয়লা সুফী৷

নিদেশ

১৷ Annemarie Schimmel, "My Soul Is a Woman".

২৷ "Bengali Nath and Midianite Arab Nasiku," Newsgroups: soc.culture.bangladesh Date: 9 Aug 2004 04:38:48 -0700 Organization: http://groups.google.com Lines: 647 Message-ID: <b632ba23.0408090338.41448ac6@posting.google.com>

৩৷ Cyril Glasse, "The Concise Encyclopedia of Islam," HarperCollins, San Francisco, 1991.

৪৷ C. Vaudeville, "Kabir", Oxford Univ. Press, 1974. ভারতীয় সংস্করণ ১৯৯৩, "The Weaver Named Kabir".

৫৷ Javier Teixidor, "The Pagan God", Princeton Univ. Press, 1977. আরো Hisham Ibn al-Kalbi, "The Book of Idols" tr. N. A. Faris, Princeton Univ. Press, 1952.

৬৷ Andrey Korotayev, "Ancient Yemen", Journal of Semitic Studies Supplement 5, OUP, 1995.

৭৷ M. Dahood, Psalms I (1-50), 1966; Psalms III (101-150), 1970, Anchor Bible.

৮৷ S. R. Driver, Mizpah, Dictionary of the Bible, J. Hastings edited, Charles Scribner's sons, 1927.

৯৷ H. Lazarus-Yafeh, "Judaism and Islam-Some Aspects of Mutual Cultural Influences", pp72-89, in "Some Religious Aspects of Islam", E. J. Brill, Leiden, 1981. আরো
Paul Fenton's article in Seyyed Hossein Nasr and Oliver Leaman ed. "History of Islamic Philosophy".
S. D. Goitein's "Abraham Maimonides and his Pietist Circle" in A. Altmann ed. "Jewish Medieval and Renaissance Studies", Harvard Univ. Press 1967.

১০৷ R. A. Trotter, "The Christianity in Sind," Conference, February, 1947. আরো Leslie Brown, "The Indian Christians of St Thomas," Cambridge Univ. Press, 1982.

১১৷ "India in the Fifteenth Century", The Hakluyt Society, ed. with introduction by R. H. Major. সুলাইমানের লিখার ইং তরজম M. Reinaud, 1845.

১২৷ এককড়ি চট্টোপাধ্যায়, "বর্ধমান জেলার ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতি", কলকতা, ২০০১৷

১৩৷ "Plutarch's Lives", vol. VII, ইং তরজমা B. Perrin, Harvard Univ. Press, 1919 (1971 reprint).

১৪৷ Robin Lane Fox, "The Search for Alexander", Little, Brown & Company, Boston, 1980.

১৫৷ Brenda Z. Seligman, "The Veddas", Cambridge 1911.

১৬৷ Nora Chadwick, in "Oral Epics of Central Asia" by N. Chadwick and V. Zhirmunsky, Cambridge Univ. Press, 1969.

১৭৷ E. S. Drower, "The Secret Adam, A Study of Nasoraean Gnosis", Oxford, Clarendon Press, 1960.

১৮৷ P. R. Amidon, "The Panarion of St. Epiphanius, Bishop of Salamis, Selected Passages", Oxford Univ. Press, New York, 1990.

১৯৷ Alfredo Lopez Austin, "Tamoanchan, Tlalocan Places of Mist", ইং তরজমা Bernard and Thelma de Montellano, Univ. Press of Colorado, 1997.

২০৷ Joan Corominas, "Breve Diccionario Etimologico De La Lengua Castellana", Editorial Gredos, Madrid 1961.